Cell Division Class XI Valuable Chapter||কোষ বিভাজন একাদশ (11)শ্রেণীর

Cell Division||কোষ বিভাজন এই চ্যাপ্টার এর কিছু প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো —–

1. রবার্ট হুক নিজের তৈরি অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সর্বপ্রথম কোশ পর্যবেক্ষণও কোশের নামকরণ করেন।

2. স্লেইডেন ও সোয়ান হলেন কোশবাদের প্রবক্তা। শ্লেইডেন উদ্ভিদকোশ এবং সোয়ান প্রাণীকোশের ওপর কাজ করেন।

3. কোশবাদ বা কোশতত্বকে বিজ্ঞানী ভিরচাও আরো উন্নত করেন। তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্ত করেন যে, পূর্বসৃষ্ট কোশ থেকে নতুন কোশ সৃষ্টি হয়।

4. বিজ্ঞানী হ্যাক্সলে সর্বপ্রথম প্রোটোপ্লাজমাকে জীবনের ভৌত ভিত্তি হিসেবে অভিহিত করেন।

5. ক্ষুদ্রতম এককোশী জীব হল মাইকোপ্লাজমা প্যালিসেপটিকাম।

6. সর্ববৃহৎ এককোশী উদ্ভিদ হল অ্যাসিস্টাবুলেরিয়া।

7. কিছুকিছু প্রোটিস্ট, বেশিরভাগ ছত্রাক এবং সমস্ত উদ্ভিদ কোশের একেবারে বাইরে একপ্রকার পুরু ও নির্জীব আবরণী থাকে। একে কোশপ্রাচীর বলে। এটি মূলত সেলুলোজ দ্বারা গঠিত।

৪. প্রোটিন-লিপিড-প্রোটিন এই তিনটি স্তর সমন্বিত সমস্ত কোশীয় পর্দাকে

Cell Division||কোষ বিভাজন একাদশ শ্রেণীর

বিজ্ঞানী রবার্টসন 1853 খ্রিস্টাব্দে একক পর্দা বা ইউনিট মেমব্রেন হিসেবে অভিহিত করেন।

9.কোশপর্দার পঠন সম্পর্কে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মডেলটি দেন সিঙ্গার এবং নিকলসন।

এঁদের মডেল অনুসারে প্লাজমাপর্দা একটি দ্বিমাত্রিক, তরলায়িত দ্বিস্তরী লিপিড, যার মধ্যে বিভিন্ন প্রোটিন কণা থাকে।

10. কোনো একটি কোশের সমগ্র প্রোটোপ্লাজমকে প্রোটোপ্লাস্ট বলে। এই প্রোটোপ্লাস্ট মূলত তিনটি অংশ নিয়ে পঠিত-প্লাজমালেমা (বা প্লাজমা মেমব্রেন), সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস।

11. পাশাপাশি অবস্থিত দুটি উদ্ভিদকোশ প্লাজমোডেসমাটা নামে একপ্রকার সাইটোপ্লাজমীয় যোগসূত্র দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে।1

2. সাইটোপ্লাজমে উপস্থিত সজীব অংশগুলিকে সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু এবং সব নির্জীব বস্তু গুলিকে সাইটোপ্লাজমিক ইনক্লুশন বলে।

13. কোশে দু-প্রকারের সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু থাকে পর্দাবৃত এবং পদাবিহীন। পর্দাবৃত অঙ্গাণুগুলির মধ্যে আবার কিছু একক আবরণীযুক্ত এবং কিছু দ্বি-একক আবরণীযুক্ত।

14. কোশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বি-একক আবরণীযুক্ত অঙ্গাণু হল মাইটোকনড্রিয়া এবং প্লাসটিড।

এই দুই অঙ্গাণু আংশিক স্বনির্ভর। কারণ, এরা এদের মধ্যে অবস্থিত DNA দ্বারা স্বনির্ভরভাবে নিজেদের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ প্রোটিন সংশ্লেষ করতে পারে।

15. প্লাসটিড তিন প্রকার ক্লোরোপ্লাসটিড, ক্রোমোপ্লাসটিভ এবং লিউকোপ্লাসটিড। ক্লোরোপ্লাসটিড বা ক্লোরোপ্লাস্টে উপস্থিত ক্লোরোফিলের মাধ্যমেই সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে।

16. ক্রোমোপ্লাস্ট হল রঙিন প্লাসটিড, যা হলদে, কমলা, লাল বিভিন্ন প্রকার রঙ্গক পদার্থ বহন করে।

লিউকোপ্লাস্ট হল রঞ্জকবিহীন প্লাস্টিড। এটি মূলত স্টার্চ, প্রোটিন বা ফ্যাটি সঞ্চয় করে রাখে।

17. মাইটোকনড্রিয়া কোশের শক্তিঘর। বিভিন্ন জৈব যৌগ থেকে শান্তি ATP-তে সঞ্চয় করে, এই ATP তৈরি হওয়াকেই কোশীয় শ্বাসন বলে।

এখানে নরেন্দ্রপুর, পুরুলিয়া, রহড়া, সরিষা, সারগাছি এই সমস্ত রামকৃষ্ণ মিশন-এ অ্যাডমিশনের জন্য কোচিং দেওয়া হয়। এছাড়াও নবোদয়, সৈনিক স্কুল এবং সিষ্টার নিবেদিতা স্কুলে অ্যাডমিশনের জন্য কোচিং দেওয়া হয়। N.B-বাংলা ও ইংরেজী দুই মাধ্যমের ব্যবস্থা আছে। (পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত এবং 1 নম্বর কোচিং ইনস্টিটিউট Walnut Academy )

Cell Division||কোষ বিভাজন

কোশের আবশ্যক ATP-এর বেশিরভাগই মাইটোকনড্রিয়ায় তৈরি হয়।

18. এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম প্রোক্যারিওটিক কোশ এবং বৈজিক কোশ (জার্মিনাল কোশ) ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর পরিণত লোহিত রক্তকণিকা বাদে সমস্ত ইউক্যারিওটিক কোশে থাকে।

19. দু-প্রকার এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম হয় অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম (RER) এবং মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম (SER)। এর মধ্যে RER কেবলমাত্র ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়।

20. ইউক্যারিওটিক কোশের সাইটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াসের সন্নিকটে এককপর্দা ঘেরা চ্যাপটা থলির মতো অংশকে গলগি বস্তু বলে।

বিজ্ঞানী ক্যামিলো গলগির নাম অনুসারে এই অঙ্গাণুর নাম হয়েছে।

21. গলগি বস্তু উদ্ভিদকোশের সাইটোপ্লাজমে অবিন্যস্তভাবে ছড়ানো থাকে, এদের ডিকটিওজোম বলে।

22. স্নায়ুকোশ (neurons) এবং গ্রন্থি কোশ (glandular cell) ক্ষরণে অংশগ্রহণ করে বলে এই কোশগুলিতে গলগি বস্তু সুগঠিত।

23. গলগি বস্তুর কাছাকাছি সাইটোপ্লাজমে অন্য কোনো অঙ্গাণু থাকে না, একে জোন অফ্ এক্সক্লুশন (zone of exclusion) বলে।

24. লাইসোজোম হল ইউক্যারিওটিক কোশের ক্ষুদ্র এককপর্দাবেষ্টিত, আদ্রবিশ্লেষক উৎসেচকপূর্ণ, থলিসদৃশ অঙ্গানু।

🧠ফ্যাগোসাইটোসিস ও পিনোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্তঃকোশীয় পরিপাক ঘটায় তাই একে আত্মঘাতী থলি (suicidal bag)-ও বলে।

25. পর্দাবিহীন, রাইবো নিউক্লিওপ্রোটিন নির্মিত, প্রোটিন সংশ্লেষকারী অঙ্গাণু হল রাইবোজোম। প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় বলে একে প্রোটিন তৈরির কারখানা (protein factory) বলে।

26. প্রোটিন সংশ্লেষের সময় একটি mRNA-এর সাথে অনেকগুলি রাইবোজোম যুক্ত হয়ে পলিরাইবোজোম বা পলিজোম পঠন করে। প্রতিটি রাইবোজোম দুটি অধঃএকক (subunits) নিয়ে গঠিত, যা প্রোটিন সংশ্লেষের সময়ে জুড়ে যায়।

28.মাইক্রোটিউবিউলের প্রাচীর সর্পিলাকারে বিন্যস্ত 13 টি প্রোটোফিলামেন্ট দিয়ে তৈরি, যা টিউবিউলিন নামক বটিকাকৃতি প্রোটিন অণু দ্বারা গঠিত। মাইক্রোটিউবিউল, কোশের সাইটোপ্লাজমীয় কঙ্কাল গঠনে ও যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদানে সাহায্য করে।

29.মাইক্রোফিলামেন্ট মূলত অ্যাকটিন ও মায়োসিন প্রোটিন দ্বারা গঠিত।

Short Syllabus Cell Division||কোষ বিভাজন

🧠এটি পেশিতন্তুর সংকাচন ও প্রসারণে, সাইটোকাইনেসিসের সময়ে কোশপাত গঠনে, অন্তঃকোশীয় চলনে সাহায্য করে।

30. সেন্ট্রোজোম প্রাণীকোশের নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থিত, যার মধ্যে দু-মুখ খোলা পিপের মতো সেন্ট্রিওল একটি অপরটির সমকোণে থাকে। সেন্ট্রিওলের প্রাচীর 9টি অণুনালিকা দিয়ে গঠিত, যেগুলি প্রতিটি আবার তিনটি করে অধঃনালিকা নিয়ে গঠিত। স্পিন্ডলের মাইক্রোটিউবিউল, সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার বেসাল বডি গঠন করে।

31. সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলা কোশের মুক্ততলে থাকে। এদের প্রতিটি বেসাল বডি, শ্যাফ্ট, বেসাল প্লেট ও বুটলেট নামক চারটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। শ্যাফ্টে 11টি অণুনালিকা (9+2 বিন্যাসে) থাকে।

32. ভ্যাকুওল বা কোশগহ্বর হল এককপর্দাবেষ্টিত ভেসিকূল। এতে খাদ্যকণা, জল, রঙ্গক, টক্সিন প্রভৃতি সঞ্চিত থাকে। প্রাণীকোশে অসংখ্য ভ্যাকুণ্ডল থাকলেও উদ্ভিদকোশে একটি বড়ো ভ্যাকুওল থাকে, যা কোশীয় অঙ্গাণুসহ সাইটোপ্লাজমকে পরিধির দিকে ঠেলে দেয়। এই সরু সাইটোপ্লাজম স্তরকে প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিক্স বলে।

33. দ্বি-এককপর্দাবেষ্টিত নিউক্লিয়াস কোশের বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে বলে একে কোশের মস্তিষ্ক বলা হয়।

রবার্ট ব্রাউন (1831) নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন। এটি DNA বহন করে।

34. যেসব নির্জীব ইনক্লুশন সাইটোসলে সঞ্চিত থাকে সেগুলি হল-স্টার্চ দানা, গ্লাইকোজেন দানা, প্রোটিন দানা, তেল বিন্দু, রঙ্গক কণা ইত্যাদি।

🧠 উদ্ভিদকোশে জৈব ও অজৈব পদার্থের কেলাসও সঞ্চিত থাকে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

Leave a Comment

error: Content is protected !!