নমস্কার বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো আমাদের সকলের প্রিয় মা সারদা দেবীর বাণী অর্থাৎ কয়েকটা বিখ্যাত উক্তি 🙏🙏🙏—————————————————————(The Powerful & Beloved Quotes Of Maa Saroda)
* স্বামী গম্ভীরানন্দজি মা সারদা দেবীর মহাসমাধির আগে শেষ উক্তি সম্পর্কে জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘শ্রী মায়ের দেহ যাইবার মাত্র পাঁচ দিন পূর্বে এক ভক্ত অন্নপূর্ণা মা-কে দেখিতে আসিয়াছিলেন। কিন্তু ভেতরে যাইতে নিষেধ বলিয়া ঠাকুরঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পাশ ফিরিয়া মা তাহাকে দেখিয়া ইশারা করে নিকটে ডাকিলেন। তিনি কাছে গিয়ে প্রণাম করিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে বলেছিলেন, ‘মা, আমাদের কি হবে?’ করুণাবিঘলিত ক্ষীণকণ্ঠে অভয় দিয়া মা আস্তে আস্তে বলেছিলেন, ‘ভয় কি? তুমি ঠাকুরকে দেখেছ, তোমার আবার ভয় কি?’ তবে একটি কথা বলি, ‘যদি শান্তি চাও মা, কারও দোষ দেখো না। দোষ নিজের দেখবে। জগৎকে আপনার করে নিতে শেখ। কেউ পর নয়, এই জগতে মা তোমার।’ ভক্তদের প্রতি এই ছিল শ্রী শ্রী সারদা মায়ের শেষ বাণী।
* ‘কর্মফল ভুগতে হবেই। তবে ঈশ্বরের নাম করলে যেখানে ফাল ঢুকতো , সেখানে সুঁচ ফুটবে। জপ তপ করলে কর্ম অনেকটা খণ্ডণ হয়। যেমন সুরথ রাজা লক্ষ বলি দিয়ে দেবীর আরাধনা করেছিল বলে লক্ষ পাঁঠায় মিলে তাঁকে এক কোপে কাটলে। তার আর পৃথক লক্ষ বার জন্ম নিতে হল না। দেবীর আরাধনা করেছিল কিনা। ভগবানের নামে কমে যায়।’
* ‘ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে ক’জনে? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সব্বাই, কিন্তু কী করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা বলতে পারে ক’জনে?’* ‘কাজ করা চাই বইকি, কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়, তবে নিষ্কাম ভাব আসে। একটুকু সময় ও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়।’
👉 ‘ মা এই জন্ম কত সৌভাগ্য এর , খুব করে ভগবানকে ডেকে যাও। খাটতে হয়, না-খাটলে কিছুই হয় না। সংসারে কাজকর্মের মধ্যেও একটু সময় বের করে নিতে হয়।
👉’একশো জনকে খাওয়াতে হবে না, কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্তকে দেখলে তাঁকে একটু খেতে দিও।’
👉’যেমন ফুল নাড়তে নাড়তে ঘ্রাণ বের হয়, চন্দন ঘষতে ঘষতে সুগদ্ধ বের হয়, তেমনই ভগবানের তত্ত্ব এর র আলোচনা করতে করতে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়।’
* ‘মনটাকে বসিয়ে চুপচাপ না বসে থেকে,মন দিয়ে কাজ করা ঢের ভাল। মন খারাপ হলেই যত গন্ডগোল বাধে ।’
* ‘দয়া শরীরে নাই যার, সে কি মানুষ? সে তো পশু এরও অধম । আমি কখনও কখনও দয়ায় আত্মহারা হয়ে যাই, ভুলে যাই যে আমি কে।’
👉 শ্রীমা বললেন, “আমি মেয়েমানুষ, আমি কী করতে পারি?” এ যেন ছেলেভুলানো মুখের কথা। ঠাকুর উত্তর দিলেন, “না, না, তোমাকে অনেক কিছু করতে হবে। দ্যাখ, কলকাতার লোকগুলো যেন অন্ধকারে পোকার মতো কিলবিল করছে। তুমি তাদের দেখো।”
👉 ঠাকুরের কাছে সামান্য ভর্ৎসিত হলে মধুর ভাবের সাধিকা এক পাগলিনীকে আগলাতে চাইছেন শ্রীমা, বলছেন, “আমার কাছে পাঠিয়ে দিলেই তো হয়!” কী মৌলিকতাপূর্ণ ভাব! দায় নেওয়ার কী আকুল আগ্রহ! আধুনিক মানুষ শ্রীরামকৃষ্ণ স্মিতহাস্যে মায়ের এই স্বাধীন মনোভাবকে মান্যতা দিচ্ছেন🙏🙏🙏
মা সারদা দেবীর বাণী ও জীবনী সম্পর্কে জানতে আগের পোস্টে আসুন --- Click Now
আমাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ ফলো করুন আপডেট রাখতে নিজেকে -- Following Me