এই পোস্ট টা যারা রামকৃষ্ণ মিশন এর বিভিন্ন শাখায় ভর্তির জন্য আবেদন করবেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।। Ramkrishna Mission Golpark important Gk Part-3
১। প্রঃ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কীভাবে গঠিত হয়?
উঃ। ১৯৪৭ খ্রিঃ ১৫ আগস্ট বঙ্গদেশ নামক প্রদেশটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। এই বঙ্গদেশের পশ্চিমাংশের কতকটা এলাকা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি গঠিত হয়। আর পূর্বদিকে বাকি অংশ নিয়ে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান গঠিত হয়। বর্তমানে এই পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হয়েছে। ১৯৫৬ খ্রিঃ বিহারের পুরুলিয়া ও পূর্ণিয়া জেলার কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হয়। এইভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গঠিত হয়।
২। প্রঃ আমাদের প্রধান খাদ্য কী কী?
উঃ। আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। ভাত ছাড়া পশ্চিমবঙ্গবাসী আজকাল বুটি খেতেও অভ্যস্ত হয়েছে। ভাত ও বুটির সঙ্গে আমরা ডাল, মাছ, মাংস ও নানা তরকারী খেয়ে থাকি।
৩। প্রঃ আমাদের রাজ্যের দ্বিতীয় প্রধান ফসল কী?
উঃ। আমাদের রাজ্যের দ্বিতীয় প্রধান ফসল হল পাট।
৪। প্রঃ কোথাকার আম ও কমলালেবু বিখ্যাত??
উঃ। মালদহ ও মুরশিদাবাদের আম এবং দার্জিলিং ও ডুয়ার্স অঞ্চলের কমলালেবু বিখ্যাত।
৫। প্রঃ কোথাকার চা জগৎ বিখ্যাত?
উঃ। দার্জিলিং-এর চা।
৬। প্রঃ আমাদের রাজ্যের কয়েকটি ফলের নাম করো।
উঃ। আম, জাম, কলা, কমলালেবু, পেয়ারা, লিচু, শশা, কাঁঠাল ইত্যাদি।
৭। প্রঃ কোন্ কোন্ ফল আমাদের রাজ্যে সারা বছর পাওয়া যায়?
উঃ। কলা, পেঁপে, নারিকেল ইত্যাদি আমাদের রাজ্যে সারা বছর পাওয়া যায়।
৮। প্রঃ এ রাজ্যের দুটি অর্থকরী ফসলের নাম বলো।
উঃ। পাট ও চা হল এ রাজ্যের দুটি অর্থকরী ফসল।
৯। প্রঃ আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কোথায় তামাক জন্মে? তামাক কোন্ কাজে লাগে?
উঃ। পশ্চিমবাংলার কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় প্রচুর তামাক পাওয়া যায়। তামাকপাতা থেকে বিড়ি, সিগারেটের মশলা তৈরি হয়। এছাড়া অনেকে তামাক পাতা পুড়িয়ে হুকোয় ধূমপান করে। আর পানের মশলা হিসাবে ব্যবহার করে।
১০। প্রঃ চা গাছ চাষের জন্য কেমন অবস্থার প্রয়োজন?
উঃ। চা গাছ চাষের জন্য চাই ঢালু জমি যেখানে জল দাঁড়াতে পারে না, আর বেশি বৃষ্টি হয়।
১১। প্রঃ বন থেকে আমরা কী কী পাই?
উঃ। বন থেকে আমরা নানা প্রকার কাঠ, মধু, তারপিন তেল, রেশম, নানারকম ফল, ঘর ছাওয়ার উলু খড়, খাগড়ার কাঠি, মাদুর কাঠি, সাবাই ঘাস, শোলা ইত্যাদি পাই।
১২। প্রঃ পার্বত্য অঞ্চলে এবং তরাই অঞ্চলে কী কী গাছ জন্মায়?
উঃ। দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলে এবং তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলে পাইন, ফার, ওক, সাল,সেগুন, শিমুল, বাঁশ গাছ ইত্যাদি জন্মে।
১৩। প্রঃ মালভূমি অঞ্চলে কী কী জন্মায়?
উঃ। মালভূমি অঞ্চলে শাল, পলাশ, বাবলা, মহুয়া, তুঁত, বাঁশ, বন তুলসী প্রভৃতি গাছ জন্মায়।
১৪) কোথাকার রেশম শিল্প বিখ্যাত?
উত্তর :- মুর্শিদাবাদের।
১৫। প্রঃ খনিজ দ্রব্য কাকে বলে? পশ্চিমবাংলার প্রধান খনিজ দ্রব্য কী?
উঃ। মাটি খুঁড়ে যে সব প্রয়োজনীয় পদার্থ পাওয়া যায় তাকে খনিজ পদার্থ বলে।পশ্চিমবাংলার প্রধান খনিজ দ্রব্য হল কয়লা।
১৬। প্রঃ পশ্চিমবাংলার কোথায় যথেষ্ট পরিমাণে কয়লা পাওয়া যায়?
উঃ। বর্ধমান জেলার রানীগঞ্জে যথেষ্ট পরিমাণে উৎকৃষ্ট শ্রেণির কয়লা পাওয়া যায়।
১৭। প্রঃ পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্রের কাছাকাছি জায়গায় কীসের সন্ধান চলছে?
উঃ। পেট্রোলের সন্ধান চলছে।
১৮। প্রঃ চিনামাটি থেকে কি তৈরী হয়??
উত্তর :-কাপ, প্লেট তৈরি হয় চীনামাটি থেকে।
১৯। প্রঃ শিল্পকে আমরা কয়টি ভাগে ভাগ করতে পারি?
উঃ। শিল্পকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। যেমন-কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্রশিল্প ও বৃহৎশিল্প।
২০। প্রঃ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি কুটিরশিল্পের নাম করো।
উঃ। মাদুর, মৃৎশিল্প, হস্তচালিত তাঁতশিল্প, ছাতা, লোহার ছোটো ছোটো কাজ, বেতেরকাজ, স্বর্ণশিল্প, ইত্যাদি।
২১। প্রঃ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি বৃহৎশিল্পের নাম করো
:উঃ। দুর্গাপুরের ও বার্ণপুরের লৌহ-ইস্পাত কারখানা, হুগলি নদীর উভয় তীরে পাটশিল্প, চিত্তরঞ্জনের রেলইঞ্জিন তৈরির কারখানা, হিন্দমোটরে মোটর তৈরির কারখানা, উত্তর২৪ পরগনা ও কলকাতায় বস্ত্রশিল্প কারখানা ইত্যাদি।
২২। প্রঃ পাটশিল্পের কারখানাগুলো কোথায় গড়ে উঠেছে?
উঃ। হুগলি নদীর উভয় তীরে উত্তরে নৈহাটী থেকে দক্ষিণে বজবজ এলাকা পর্যন্ত পাটশিল্পের কারখানাগুলি গড়ে উঠেছে।
২৩। প্রঃ পশ্চিমবঙ্গের কোথায় লোহা ও ইস্পাত তৈরির কারখানা আছে?
উঃ। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর ও বার্ণপুরে লোহা ও ইস্পাত তৈরির কারখানা আছে।
২৪। প্রঃ বস্ত্রশিল্পের কারখানাগুলো কোথায় অবস্থিত?
উঃ। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতায় বস্ত্রশিল্পের কারখানাগুলি অবস্থিত।
২৫। প্রঃ কোন্ কোন্ জেলায় রেশম সুতো ও কাপড় তৈরি হয়?
উঃ। মালদহ, মুরশিদাবাদ ও বাঁকুড়া জেলায় রেশমের সুতো ও কাপড় তৈরি হয়।
Ramkrishna Mission Golpark Admission Apply Online — Click Now
💠 Audi India -এর নতুন Brand Ambassador হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী Neeraj Chopra🏆🥇