Environmental Chemistry Focus Key For Neet, jee, JENPAS, gnm, anm and all government job aspirations.
জৈব বিবর্ধন (Biomagnification): —
এমন কিছু কিছু দুষণ সৃষ্টিকারী পদার্থ আছে যেগুলি জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত হয় না, যেমন- মার্কারি-ঘটিত যৌগ মিথাইল মার্কারি, ক্লোরিন ঘটিত জৈব কীটনাশক ডিডিটি, অ্যালড্রিন, হেপ্টাক্লোর ইত্যাদি। এই পদার্থগুলি তাদের বিষক্রিয়া অক্ষত রেখে বছরের পর বছর টিকে থাকে। তাই এগুলিকে বলা হয় দীর্ঘস্থায়ী জৈব দুষক। এগুলি সাধারণত জলে অদ্রাব্য, কিন্তু তেল ও চর্বিতে দ্রাব্য। এই বস্তুগুলি যদি জীবদেহে প্রবেশ করে তাহলে দেহের চর্বিতে আবদ্ধ হয় এবং ক্রমশ সন্বিত হতে থাকে। জীবদেহে সঞ্চিত হওয়া এই বিষান্ত পদার্থগুলি খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির খাদকের দেহে সঞ্চারিত হয়। দুষিত খাদ্য বারবার খাওয়ার ফলে খাদকের দেহে বিপজ্জনক মাত্রায় এই দীর্ঘস্থায়ী জৈব দূষকগুলি (Persistent Organic Pollutant বা POP) সঞ্চিত হয়। এইভাবে জীবদেহের মেদযুক্ত কলায় (fat tissue) খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ক্রমবর্ধমান সঞ্চিত হওয়ার ঘটনাকে জৈব বিবর্ধন (Biomagnification) বা জৈব সঞ্চয় (Bioaccumulation) বলে।
1.অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মারবেল নির্মিত অট্টালিকা, স্মৃতিসৌধ বা স্থাপত্যের গায়ে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়
তাকে পাথরের কৃষ্ঠ (stone leprosy) বা স্টোন ক্যানসার (stone cancer) বলে।
Focus Key for All government job aspirations Environmental Chemistry—-
2.► পারক্সি অ্যাসাইল নাইট্রেট (PAN) একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ। এটি সেকেন্ডারি দুষক।
3.সূর্যালোকের অনুপস্থিতিতে আলোক-রাসায়নিক ধোঁয়াশা সৃষ্টি সম্ভব নয়।
4. আলোক রাসায়ানিক ধোঁয়াশার মধ্যে NO₂ গ্যাস উপস্থিত থাকায়এর বর্ণ বাদামি হয়।
5. অম্লবৃষ্টি সৃষ্টিতে সবথেকে বেশি অবদান সালফিউরিক অ্যাসিডের (60-65%), তারপর নাইট্রিক অ্যাসিডের (30-35%) এবং সবচেয়ে কম অবদানহাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের।
6.জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য DO (Dissolved Oxygen)-এর মান অন্ততপক্ষে 4-6 mg/litre হওয়া উচিত।
7. যে জলের DO-এর মান যত বেশি, সেই জল তত উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট হয়।
7.DO-এর মান কমে যাওয়ার অর্থ হল জলদূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া।
8.দুষিত জলের প্রতি লিটারে উপস্থিত জৈব পদার্থসমূহের ব্যাকটেরিয়া-খচিত বিয়োজন (অর্থাৎ জৈব-রাসায়নিক বিয়োজন)-এর জন্য যত মিলিগ্রাম অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেই মিলিগ্রাম প্রকাশক সংখ্যাটিকে ওই জলের BOD (Biochemical Oxygen Demand) বলা হয়।
9.► কোনো জলের BOD-এর মান যত বেশি হয়, সেই জলের দূষণের মাত্রা তত বেশি, কারণ জলে বেশি পরিমাণ জৈব দূষক উপস্থিত থাকলেওই দূষকের জৈব-রাসায়নিক বিয়োজনের জন্য বেশি পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
Walnut A Competitive And Entrance Examination cracker Institution ( Environmental Chemistry
10.কোনো জলের নমুনায় উপস্থিত পচনশীল ও অপচনশীল (অর্থাৎ বিয়োজনযোগ্য ও বিয়োজন-অযোগ্য) দূষক পদার্থসমূহের মোট পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য নমুনাটিকে শক্তিশালী জারক দ্রব্য (K₂C:₂O,+H₂SO₄) দ্বারা জারিত করা হয়। এক্ষেত্রে জারক দ্রব্য দূষকের জারণের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে। বিয়োজনযোগ্য ও বিয়োজন-অযোগ্য দূষকসমূহের জারণের জন্য প্রয়োজনীয় মোট অক্সিজেনের চাহিদাকে রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা বা COD (Chemical Oxygen Demand) বলে। জলের নমুনার COD-এর মান BOD-এর মান অপেক্ষা বেশি হয়।
11.ক্যাডমিয়াম দূষণের ফলে ইতাই-ইতাই রোগ হয় এবং মারকারি দূষণের ফলে মিনামাতা রোগ হয়।
12. WHO -এর নির্দেশিকা অনুযায়ী পানীয় জলে আর্সেনিকের নিরাপদ মাত্রা হল 0’01 mg/lit ও মানবদেহে এর সর্বাধিক সহনসীমা হল 0’05 mg/lit/
13.ডিটারজেন্টের দুটি প্রধান অংশ হল: পৃষ্ঠতল সক্রিয় পদার্থ, যেমন-অ্যালকিল বেন্ধিন সালফোনেট (Alkyl Benzene Sulphonate বা ABS) এবং অন্যটি হল বিল্ডার বা ফিলার , যেমন-সোডিয়াম স্ট্রাইপলিফসফেট (Na₃P3010)। এরা উভয়েই জলদূষণের জন্য দায়ী।
14.সমুদ্রের জলে ভাসমান তেল পাখির পালকে এবং ডানায় জড়িয়ে যাওয়ার ফলে পাখিরা ওড়ার ক্ষমতা হারায়, পালকের জলরোধী কমতা বিনষ্ট হয়। ফলে জলের সংস্পর্শে পাখিদের শারীরিক উন্নতা হ্রাস পায় এবং পাখিরা মারা পড়ে। এই ঘটনাকে হাইপোথারমিয়া (hypothermia) বলে।
15.গৃহস্থালির বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত জলের BOD -এর মান সাধারণত 100-200 ppm হয়।
Environmental Chemistry || পরিবেশ রসায়ন
16. পানীয় জলের BOD -এর মান 1 ppm অপেক্ষা কম হওয়া উচিত।
17.ওজোন স্তরের পুরুত্বের একক হল ‘ডবসন’।
0° C উষ্ণতা ও 760 mm চাপে সংকুচিত গ্যাসের 0.01 mm পুরুত্বকে 1 ডবসন একক (1 DU) বলে।
18.► গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টিকারী গ্যাসগুলি হল (অবদানসহ): CO₂ (50%), CH (10%), CFC(16%), O₂(8%), N₂O(5%), H₂O(2%)
19.ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য দায়ী পদার্থটি হল MIC (মিথাইল আইসোসায়ানেট)।
20.আর্সেনিক দূষণের ফলে মানুষের দেহে চর্মরোগ, হাত ও পায়ের নখে ‘অরিচ্ মিজ রেখা, পায়ের পাতায় কালো ঘা
(যা ব্ল্যাকফুট ডিজিজ নামে পরিচিত) প্রভৃতি রোগ দেখা দেয়।
21. বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে সারা বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনাকে বলা হয় গ্লোবাল ওয়ামিং।